২ জুল, ২০১১

জোকস আর জোকস

১। অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক বললেন, তা কেমন আছেন, অনেক দিন পর এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার কবে আসবেন?
মেহমান : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।

২। বল্টু স্কুল থেকে এসে আরাম খান কে বলছে, "বাবা, বাবা আজকে না স্কুলে এক নতুন ম্যাডাম আসছে। ম্যাডামটা না একটা মাল!!!
আরাম খান: চুপ কর বেয়াদব ম্যাডাম মায়ের মত। 
বল্টুঃ হ্যাঁ , হ্যাঁ , খালি নিজের কথাই ভাব!!!


৩। দুই পিচ্চি খেলছে। স্বভাবত দুইটার-ই প্যান্ট নাই। হঠাৎ মেয়ে পিচ্চিটা ছেলে পিচ্চিটার ওইটা ধরে টানতে লাগলো। তখন ছেলে পিচ্চিটা মন খারাপ করে বললঃ " টানো আরো বেশি করে টানো, নিজেরটা তো ছিঁড়ছ এখন আসছো আমারটা ছিঁড়তে .........."

আমার প্রিয় কিছু জোকস--১

১। বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিন, যা ইচ্ছা তা-ই করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়, এখন কী করা? নিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়? দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়, সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলাম, সন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে না, পরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? বিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্ট! সেও সিগারেট টানছে!!
: আ-আপনি?
: বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাক, ভালোই হলো, তোমরাও···।
তারপর আর কি···বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।


২। ইদুর মারে, তেলাপোকা মারে, ছারপোকা মারে, পিপড়া গুলো মারে। জাদুর কাঠি ম্যাজিক চক। দাগ দিলে পরে, ঘষা দিলে মরে,তেইলাচোরা মরে। চোরার ঘরে চোরা, তেইলাচোরা। জায়গায় খায়, জায়গায় ব্রেক। ইদুর গুলা ব্রেক। লাইনে খায়, বেলাইনে মরে। কাইত হইয়া খায়, চিত হইয়া মরে। লাফাইয়াখায়, দপাইয়া মরে। ইদুর গুলা মরে। ইদুর চিকা মারামারি, নষ্ট করে বাসাবাড়ি। ওষুধ কিনেন তাড়াতাড়ি। ময়নার মার ঘুম নাই। ইদুর তোর বাচন নাই। ধরা পরলে জামিন নাই।

নতুন মাসের জন্য একগুচ্ছ জোঁকস,

১। জেলে কয়েদ থাকা অবস্থায় একদিন ভোলানাথের কাছে তার স্ত্রীর চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘আমি সামনের বাগানটায় স্ট্রবেরি চাষ করতে চাই। তুমি কি বলে দেবে, এর জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত?’ ভোলানাথ বুঝতে পারল যে জেলপ্রহরী তার সবগুলো চিঠি আগেই পড়ে ফেলে। তাই জেলপ্রহরীকে মজা দেখানোর জন্য ভোলানাথ তাঁর স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল, ‘খবরদার! সামনের বাগানে হাত দেবে না। ওখানে আমার সবগুলো টাকা লুকিয়ে রেখেছি।’ কিছু দিন পর ভোলানাথ আবারও তার স্ত্রীর একটি চিঠি পেল। তাতে লেখা, ‘তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, কী ঘটেছে! কাল কিছু পুলিশ এসে তোমার সামনের বাগানটা অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে চাষ করে ফেলেছে। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।’ চিঠির উত্তরে ভোলানাথ লিখে, ‘হুম, এখনই হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষের উপযুক্ত সময়। আর দেখলে, কীভাবে পুলিশদের দিয়ে ফ্রি ফ্রি বাগানটা চাষ করিয়ে নিলাম।’


২। টাশকি শেখ এর শাশুড়ি একবার ঠিক করলো,তার দুই জামাই এর কে তাকে বেশি ভালোবাসে সেটা পরীক্ষা করবে।

১ম দিন সে ১ম জামাই(টাশকি শেখ)এর সামনে নদীতে লাফ দিলো,আর ডুবে যেতে লাগলো,দেখতে জামাই তাকে বাঁচায় কিনা।

জামাই নদীতে লাফ দিয়ে তাকে বাঁচালো………..

শাশুড়ি তাকে খুশি হয়ে Karizma বাইক গিফট করলো।
পরের দিন সে ২য় জামাই এর সামনে নদীতে লাফ দিলো,একি পরীক্ষা করার জন্য।

কিন্তু এই জামাই টাশকি শেখ কে দেখতে পারতো না,তাই সে বাঁচালো না।শাশুড়ি মারা গেলো।

কিন্তু পরের দিন দেখা গেলো ২য় জামাই [ FORD Mustang ] নিয়ে ঘুরছে।

১ম জামাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,এটা কোথায় পেলে?

২য় জামাই হেসে জবাব দিলো, “আমার শ্বশুর খুশি হয়ে এটা গিফট করেছে”


আজকের জোঁকস সাথে বোনাস জোকস, পিঃ

এক মার্কিন ধনকুবেরের একমাত্র সুন্দরী মেয়ে। মেয়ের ছেলেবন্ধুর কোনো অভাব নেই। অভাব থাকার কথাও নয়। কারণ, একে তো সুন্দরী, তারপর ধনকুবেরের মেয়ে। মেয়ের যখন বিয়ের বয়স হলো, বাবা তাকে বললেন, এখন তো তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বলো, তোমার কাকে পছন্দ? যাকে পছন্দ তার সঙ্গেই তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করব। মেয়ে পছন্দ প্রকাশে অপারগতার কথা জানাল। বলল, আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, সবাই বলে তারা আমাকে ভালোবাসে। আমার জন্য প্রয়োজনে জান দিয়ে দেবে। বাবা চিন্তায় পড়ে গেলেন। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে বুদ্ধি বেরিয়ে এল। মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে বাবা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন, প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতায় যে প্রথম হবে, তাকেই মেয়ে বিয়ে করবে।
প্রতিযোগিতার দিন দেখা গেল শতাধিক যুবক সুন্দর পোশাকে পরিপাটি অবস্থায় ধনকুবেরের বাড়িতে এসে উপস্থিত। ধনকুবের সবাইকে বাড়ির সুইমিংপুলে নিয়ে গেলেন। সুইমিংপুলের পাশে সবাইকে দাঁড় করিয়ে বললেন, দেখো, প্রতিযোগিতা খুব সহজ। সাঁতার প্রতিযোগিতা হবে। সাঁতারে যে প্রথম হবে, তার সঙ্গেই আমার মেয়ের বিয়ে দেব। তবে সুইমিংপুলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে ভালো করে খেয়াল করো। পানির নিচে বহু কুমির অপেক্ষা করছে। আর এই কুমিরগুলোকে এক মাস ধরে কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। ধনকুবেরের কথা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল, এক যুবক পানিতে পড়ে চোখ বন্ধ করে দুই হাত-পা নাড়ছে। কুমিররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই যুবক ভাগ্যক্রমে কিছুক্ষণের মধ্যেই সুইমিংপুলের ওপারে গিয়ে উঠেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবাক। বিস্ময়ের ঘোর কাটতেই ধনকুবেরের মেয়ে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল যুবককে। বিস্ময়াবিষ্ট কণ্ঠে বলল, তোমার মতো বীরকেই আমি চাইছিলাম। একমাত্র তুমিই আমার স্বামী হওয়ার উপযুক্ত। এদিকে যুবকের রাগ তখনো থামেনি। উত্তেজনায় হাত-পা কাঁপছে। এক ঝটকায় মেয়েটিকে দূরে ঠেলে দিয়ে যুবক চিৎকার করে উঠল, ‘কোন …জাদা আমাকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছিল, তাকে আগে দেখে নিই।’