২ জুল, ২০১১

নতুন মাসের জন্য একগুচ্ছ জোঁকস,

১। জেলে কয়েদ থাকা অবস্থায় একদিন ভোলানাথের কাছে তার স্ত্রীর চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘আমি সামনের বাগানটায় স্ট্রবেরি চাষ করতে চাই। তুমি কি বলে দেবে, এর জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত?’ ভোলানাথ বুঝতে পারল যে জেলপ্রহরী তার সবগুলো চিঠি আগেই পড়ে ফেলে। তাই জেলপ্রহরীকে মজা দেখানোর জন্য ভোলানাথ তাঁর স্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল, ‘খবরদার! সামনের বাগানে হাত দেবে না। ওখানে আমার সবগুলো টাকা লুকিয়ে রেখেছি।’ কিছু দিন পর ভোলানাথ আবারও তার স্ত্রীর একটি চিঠি পেল। তাতে লেখা, ‘তুমি কল্পনাও করতে পারবে না, কী ঘটেছে! কাল কিছু পুলিশ এসে তোমার সামনের বাগানটা অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে চাষ করে ফেলেছে। কিন্তু তারা কিছুই পায়নি।’ চিঠির উত্তরে ভোলানাথ লিখে, ‘হুম, এখনই হচ্ছে স্ট্রবেরি চাষের উপযুক্ত সময়। আর দেখলে, কীভাবে পুলিশদের দিয়ে ফ্রি ফ্রি বাগানটা চাষ করিয়ে নিলাম।’


২। টাশকি শেখ এর শাশুড়ি একবার ঠিক করলো,তার দুই জামাই এর কে তাকে বেশি ভালোবাসে সেটা পরীক্ষা করবে।

১ম দিন সে ১ম জামাই(টাশকি শেখ)এর সামনে নদীতে লাফ দিলো,আর ডুবে যেতে লাগলো,দেখতে জামাই তাকে বাঁচায় কিনা।

জামাই নদীতে লাফ দিয়ে তাকে বাঁচালো………..

শাশুড়ি তাকে খুশি হয়ে Karizma বাইক গিফট করলো।
পরের দিন সে ২য় জামাই এর সামনে নদীতে লাফ দিলো,একি পরীক্ষা করার জন্য।

কিন্তু এই জামাই টাশকি শেখ কে দেখতে পারতো না,তাই সে বাঁচালো না।শাশুড়ি মারা গেলো।

কিন্তু পরের দিন দেখা গেলো ২য় জামাই [ FORD Mustang ] নিয়ে ঘুরছে।

১ম জামাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,এটা কোথায় পেলে?

২য় জামাই হেসে জবাব দিলো, “আমার শ্বশুর খুশি হয়ে এটা গিফট করেছে”


৩। —আপনাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা কেমন এখন?
—আমি মাসে পাই ১৫ হাজার টাকা, তারপর স্ত্রীও পায় ১৫ হাজার টাকা।
—সাকুল্যে ৩০ হাজার মাসে? বেশ তো!
—না, আপনি বোঝেননি। সাকুল্যে ১৫ হাজার। প্রথমে আমি বেতন পাই ১৫ হাজার টাকা, পরে আমার স্ত্রী আমার কাছ থেকে পায় ১৫ হাজার টাকা।

৪। দুই শেয়ালের কথোপকথন। শিশু শেয়াল প্রশ্ন করল, মুরগির বয়স জানার উপায় কী?
—দাঁতের মাধ্যমে।
—কিন্তু মুরগির তো দাঁত নেই।
—আমাদের তো আছে।

৫। কটি বাচ্চা ছেলে তার যুবক গৃহ শিক্ষকের উপর রেগে আগুন হয়ে বলল, কাল রাতে যাবার সময় গেটের কাছে আপনি আমার বোনকে চুমো খেয়েছিলেন, আমি দেখেছি। যুবক কাচু মাচু খেয়ে বলল, তাই বুঝি তুমি দেখে ফেলেছ। আচ্ছা এই তিরিশ টাকা নাও আর কাওকে বলবে না কিন্তু।
ছেলেটা তিরিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে অপর পকেট থেকে পাঁচ টাকার নোট বের করে তার গৃহ শিক্ষকের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, এই নিন বাকী টাকা। সবার কাছ থেকে যা নেই – আপনার কাছ থেকে বেশী নেব কেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন