অরিত্র বাবু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেছেন প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সমুদ্রের কাছে গিয়ে নামতে ইচ্ছে হলো পানিতে।
ড্রেস শর্ট করে সমুদ্রে নামতে যাবেন, কাছেই ২/৩ জন ষোড়শীর শর্ট ড্রেস দেখে অরিত্র বাবুর শরীরে ঘাম দেখা দিলো।
তিনি একটু বেশিই সেনসেটিভ।
দৃশগুলো সইতে পারেন না।
আর তাই শর্টপ্যান্টের সামন দিক উঁচু হতে থাকলো। ভয়, লজ্জা আর হিন্মতা নিয়ে এদিক সেদিক তাকালেন কেউ দেখছে না তো?
সামন পেছন ডান বাম দেখতে গিয়ে ডানে দেখলেন এক পিচ্চি মেয়ে চোখ বড় বড় করে অরিত্র বাবুর দেহের বিশেষ দিকে তাকিয়ে আছে। পুচকা মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারছে না কেন ওখানটা উঠানামা করছে।
মহা ফ্যাসাদে অরিত্র বাবু।
তিনি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলেন একটু কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়ে।
সেয়ানা পিচ্চিটি অরিত্র বাবুর আর একটু সামনে এগিয়ে এলো।
> আংকেল, এটা কী?
= পাখি... যাও যাও ডিস্টার্ব করোনা!
পিচ্চিটি গেলো না। তবে অরিত্র বাবুর তাড়া খেয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে রইলো। অরিত্র বাবুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। তিনি পানিতে দ্রুত ঝাপিয়ে পড়লেন।
ঝাপাঝাপি করে এসে সৈকতে শুয়ে পড়লেন। বিকালের সোনালী রোদ গায়ে লেগে একটা আরাম আরাম ভাব চলে এলো। কখন যে অরিত্র বাবু ঘুমিয়ে পড়েছেন, খেয়ালই করেন নি।
ঘুম ভেঙে দেখেন তিনি হাসপাতালে।
ঘটনা কী?
অন্য সবাইও জানতে চাইলেন ঘটনা কী?
অরিত্র বাবু ফ্যাল ফ্যাল করে এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে হঠাৎ অনুভব করলেন উনার বিষেশ অঙ্গে ব্যান্ডেজ।
খাইছে!
ডাক্তারের প্রশ্নে অরিত্র বাবু জানালেন, কিছুই জানি না। তবে শেষ মনে পরে সৈকতে একটা পিচ্চি মেয়ে আমার চারপাশে ঘুর ঘুর করছিলো।
ডাক্তার লোক পাঠালেন পিচ্চিকে ধরে আনার জন্য।
পিচ্চি এসে বলে,
আংকেল ঘুমিয়ে যাবার পর আমি আংকেলের পাখি আর পাখির দুইটা ডিম নিয়া খেলতে ছিলাম। হঠাৎ দেখি পাখি রাগে ফুইসা উঠছে। তাই আমি ধাক্কা দিছি। অমনি পাখি আমারে থুতু দিছে, আর তাই আমিও পাখির ডিম ভাঙার জন্য ইটের টুকরা দিয়া মারছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন