ছোট্ট বাবুকে প্রশ্ন করলেন মিস, ‘ছোট্ট বাবু, বলো তো দেখি, তোমার বাড়ির পাশের পুকুরে তিনটা হাঁস ভাসছে। যদি তুমি একটাকে শটগান দিয়ে গুলি করো, কয়টা থাকবে?’
বাবু খানিকটা ভেবে বললো, ‘উমম, তাহলে গুলির শব্দ শুনে সব উড়ে চলে যাবে, একটাও থাকবে না।’
মিস হেসে বললেন, ‘উঁহু, ছোট্ট বাবু, তিনটার মধ্যে একটাকে গুলি করলে বাকি থাকবে দুটো। কিন্তু তোমার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’
বাবু মুচকি হেসে বললো, ‘তাহলে মিস, আমি একটা প্রশ্ন করি। বলুন তো, আইসক্রীম পার্লার থেকে তিন মহিলা বের হয়েছে কোওন আইসক্রীম কিনে। একজন আইসক্রীম কামড়ে খাচ্ছে, একজন চেটে খাচ্ছে, আরেকজন চুষে খাচ্ছে। এদের মধ্যে কে বিবাহিত?’
মিস খানিকটা ভেবে বললেন, ‘ইয়ে, মানে বাবু, আমার মনে হয় শেষের জন।’
বাবু বললো, ‘উঁহু মিস, এদের মধ্যে যার হাতে বিয়ের আঙটি আছে, সে-ই বিবাহিত, কিন্তু আপনার চিন্তাধারা আমার পছন্দ হয়েছে।’ পিঃ
২। মা ও প্রতিবেশীঃ
মা প্রতিবেশীকে: আমার বড় ছেলে ডাক্তার, মেজো ছেলে ইঞ্জিনিয়ার।
প্রতিবেশী: আর ছোটটা।
মা: ও তো একটা সন্ত্রাসী।
প্রতিবেশী: তাহলে ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?
মা: কী বলেন এসব! ওই তো সবচেয়ে বেশি রোজগার করে।
৩। ‘না, বাবা রাগ করবে।’
ধানের বস্তাবোঝাই বিশাল এক গাড়ি উল্টে পড়ে আছে। গাড়িটাকে সোজা করার চেষ্টা করছে সুমন। পথ দিয়ে যাচ্ছিল তার বন্ধু জুমন। বলল, ‘কিরে, কী করিস এখানে? চল, আমার সঙ্গে চল, একটু ফুটবল খেলে আসি।’
সুমন মাথা নেড়ে জবাব দেয়, ‘না, বাবা রাগ করবে।’
জুমন বলে, ‘ধুর...তুই চল তো!’ বলে টানতে টানতে নিয়ে যায় সুমনকে। দুজনে মিলে ফুটবল খেলে। এবার জুমন বলে, ‘চল, এবার নদীতে সাঁতার কেটে আসি।’
সুমন মাথা নাড়ে, ‘না রে, বাবা রাগ করবে।’
কিন্তু জুমন এবারও কথা শোনে না, টানতে টানতে নিয়ে যায় নদীতে। দুজনে মিলে খুব করে সাঁতরায় ঘণ্টাখানেক। তারপর জুমন বলে, ‘চল, এবার হাট থেকে মিষ্টি খেয়ে আসি।’
সুমন এবারও মাথা নাড়ে, ‘না রে, বাবা রাগ করবে।’
এবার জুমন যায় খেপে, ‘সেই কোন সময় থেকে ‘বাবা রাগ করবে...রাগ করবে’ করছিস, কোথায় তোর বাবা?’
‘ওই যে গাড়িটা দেখলি না উল্টে পড়েছিল, ওটার নিচে আটকে আছে।’
আরোও পড়ুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন