২৬ ফেব, ২০১১

রাজনীতিবিদের জোঁকস

আমেরিকান, রাশান ও এক বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ রাজনৈতিক সেমিনার শেষে যে যার দেশে ফিরছেন। বাংলাদেশের হিসেবে তখন আষাঢ় মাস। এই আষাঢ় মাসে ট্র্যানজিটে লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্টে বসে গল্প করছেন ; আষাঢ়ে গল্প।
আমেরিকান : জানেন, আমাদের দেশে এখন যে-সুপারসনিক বিমান হয়েছে, তা এটমোস্ফিয়ারের (বায়ুমন্ডলের) উপর দিয়ে চলে।
রাশান : এটমোস্ফিয়ারের উপর দিয়ে মানে? গ্রেভিটেশন ফোর্স (মধ্যাকর্ষণ শক্তি) ভেদ করে? বলেন কী! তার জন্য তো রকেট টেকনোলজী দরকার। আপনি কি শিওর, এটমোস্ফিয়ারের উপর দিয়ে এই বিমান চলে?
আমেরিকান : স্যরি! ঠিক এটমোস্ফিয়ারের উপর দিয়ে নয়। তার, একটু নিচ দিয়ে। জাস্ট এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে।
রাশান : ও! তাই বলুন।
আমেরিকান : রাশিয়াতে এ-রকম কিছু আছে কি?

রাশান : থাকতেই হবে। আমদের হলো সাবমেরিন। আমাদের সবামেরিন টেকনোলজীতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের লেটেস্ট সাবমেরিন চলছে সী-বটমের (সাগর তলের) নিচ দিয়ে।
আমেরিকান : বলেন কী! সী-বটম মানে হচ্ছে হার্ড সারফেইস অফ আর্থ (কঠিন ভূপৃষ্ঠ)। সাবমেরিন তার নিচ দিয়ে চলবে কীভাবে? আপনি কি শিওর, সী-বটমের নিচ দিয়ে সাবমেরিন চলে?
রাশান : স্যরি! সী-বটমের ঠিক নিচ দিয়ে নয়। তার এক ইঞ্চি উপর দিয়ে - জাস্ট এক ইঞ্চি উপর দিয়ে চলে সাবমেরিনগুলো।
আমেরিকান : ও! তাই বলুন।
বঙ্গ-সন্তানটি এতক্ষণ চুপ করে শুনছিলো। তার কিছু বলার ছিলো না। কারণ, বাংলাদেশে এতো হাই টেকনোলজী নেই, যার কথা বলে আমেরিকান ও রাশানদের মধ্যে স্থান পাওয়া যাবে।
সহযাত্রীকে নীরব দেখে আমেরিকান ও রাশান যাত্রী জিজ্ঞেস করলো, 'বাংলাদেশে কি আমাদের মতো এরকম অভিনব কিছু আছে?'
বাঙালী : নিশ্চয় আছে।
আমেরিকান ও রাশান : (ভীষণ অবাক হয়ে) কী? কী আছে? বলুন তো!
বাঙালী : আমাদের দেশের মানুষ ভাত খায় নাক দিয়ে।
আমেরিকান ও রাশান আরও অবাক হয়ে পরস্পরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে প্রায় একত্রে জিজ্ঞেস করলো, 'বলছেন কী মশায় ! নাক দিয়ে ভাত খায়?' কি করে সম্ভব? আপনি কি শিওর যে, ঠিক নাক দিয়েই খায়? নিজ হাতে?'
বাঙালী : অবশ্যই নিজ হাতে। তবে ঠিক নাক দিয়ে নয় এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে - নাকের জাস্ট এক ইঞ্চি নিচ দিয়ে।
এবার আমেরিকান ও রাশান যাত্রী নিজ-নিজ নাকের নিচে আন্দাজ করে এক ইঞ্চি মেপে দেখলো সেখানে রয়েছে মুখ। এবার সকলেই মুখ হা করে হা-হা-হা করে হেসে উঠলো।


আরোও লেখা পড়তে পারেন

একটু এডাল্ট টাইপ জোকস‌...পিঃ

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন